লক্ষ্য
একটি সমৃদ্ধ এবং সমতার পৃথিবী গড়ে তোলা যার মূলে থাকবে সাহসিকতা, সহানুভূতিশীলতা এবং যোগ্য নেতৃত্ব।
উদ্দেশ্য
আমাদের কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন অবস্থান থেকে উঠে আসা তরুণদের মধ্যে একটি সংযোগ সৃষ্টি করে তাদের নেতৃত্বের গুণকে বিকশিত করা; যাতে তারা সরকারি, বেসরকারি এবং বেসামরিক খাতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
আমরা কেন আছি
সময়ের সাথে সাথে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই বাংলাদেশ। সেই সাথে আমাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ আর প্রতিবন্ধকতার। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ ছাড়াও রয়েছে অস্থির রাজনীতি, বেকারত্ব এবং ব্যাপক আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অসমতা। বিওয়াইএলসি'র লক্ষ্য হলো এদেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে কার্যকরী নেতৃত্ব চর্চার ধারা তৈরি এবং তাদের মধ্যকার সম্ভাবনাগুলোকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করা। যাতে করে তারা দেশের বিরাজমান সমস্যাগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে কাজ করতে পারবে।
বিওয়াইএলসিতে আমরা বিশ্বাস করি “ক্ষমতা এবং নেতৃত্ব” দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। নেতৃত্ব কোনো পদবী নয় বরং একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে মানুষকে তাদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত করা হয়। এর ফলে ক্ষমতা থাকুক কিংবা না থাকুক প্রতিটি মানুষই নেতৃত্ব চর্চা করতে পারে। জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মধ্যম সংখ্যক জনগোষ্ঠীর বয়স হলো ২৪। সাধারণত এই বয়সটাতে মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা ব্যবহার করার মতন অবস্থানে পৌঁছায় না।তার মানে কি এই দাঁড়ায় যে তারা দেশের উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না?
আমরা মনে করি নেতৃত্ব চর্চার জন্য প্রয়োজন নেই কোন আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব। নারী পুরুষ নির্বিশেষে যেকোনো বয়স কিংবা আর্থসামাজিক অবস্থান থেকে মানুষ নেতৃত্ব চর্চা করতে পারে। প্রয়োজন শুধু ইচ্ছা আর সামর্থ্য। বিওয়াইএলসি দেশের তরুণদের জন্য এমন কিছু সুযোগ তৈরি করে দেয় যেখানে তারা নেতৃত্ব চর্চার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। বিওয়াইএলসির এই উদ্যোগের একটি ভিত্তি হলো ভিন্ন আর্থসামাজিক এবং শিক্ষামাধ্যম থেকে উঠে আসা তরুণদের একত্রিত করার মাধ্যমে নেতৃত্ব চর্চায় আগ্রহী করা। এতে করে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন মতামত ও পরিবেশের সাথে মানিয়ে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করে। নেতৃত্ব চর্চার জন্য এটি একটি অপরিহার্য যোগ্যতা। যেসব বিষয় এদেশের তরুণদের ভাবায় সেসব বিষয় নিয়ে তাদের কাজ করতে অনুপ্রাণিত করি আমরা। আর এভাবেই সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গড়ে তুলতে চাই ন্যায়পরায়ণ, সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ।
আমাদের কৌশল

প্রতিবন্ধকতা ১:
বিভাজন
তরুণদের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থার ভিন্নতার কারণে চির ধরা সামাজিক ঐক্য এবং সামাজিক কলহ।

আমাদের পদ্ধতিঃ
সহানুভূতি তৈরি করা
ইংরেজি, বাংলা ও মাদ্রাসা। এই তিন শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে বিওয়াইএলসি সকল শিক্ষার্থীদের একটি সার্বজনীন মঞ্চ দিতে চায় যেখানে তারা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়ার ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। |

প্রতিবন্ধকতা ২:
যোগ্যতার অভাব
মুখস্থ বিদ্যা নির্ভর বর্তমান পাঠ্যসূচী সূক্ষ্ম চিন্তা, সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্বের যোগ্যতার প্রসার ঘটায় না। ফলে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাঁধার সম্মুখীন হয়।

আমাদের পদ্ধতিঃ
যোগ্যতা গড়ে তোলা
একটি বাস্তবসম্মত পাঠ্যসূচী অনুসরণের মাধ্যমে বিওয়াইএলসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সূক্ষ্ম চিন্তা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, দলীয় কাজের গুণাবলি এবং কার্যকরী যোগাযোগের গুণাবলী গড়ে তোলে। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। |

প্রতিবন্ধকতা ৩:
নেতৃত্বকে ক্ষমতার সাথে মিলিয়ে ফেলা
বাংলাদেশে একটি প্রচলিত ভুল ধারনা রয়েছে যে নেতৃত্ব শুধুমাত্র ক্ষমতায় থেকেই চর্চা করা যায়। এ কারনে এদেশের জনগণ তাদের নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য সব সময় ক্ষমতাসীন ব্যক্তির উপর নির্ভর করেন।

আমাদের পদ্ধতিঃ
সাহসিকতা সৃষ্টি
আমরা আমাদের পাঠ্যসূচিতে ক্ষমতাসহ কিংবা ক্ষমতা ছাড়া নেতৃত্ব চর্চার উপর গুরুত্ব প্রদান করি। আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের উদ্যোগ নেয়ার জন্য উৎসাহিত করি। আমাদের বাস্তবসম্মত পদ্ধতি সার্বিক বাঁধা দূর করার জন্য চেষ্টা করতে অনুপ্রাণিত করে।
|