বাংলাদেশকে বর্তমানে নানান জটিল সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী, পরিবেশগত অবনতি, পক্ষপাত মূলক রাজনীতি ও বেকারত্বের হার বৃদ্ধি সহ নানান আর্থ-সামাজিক বৈষম্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো কতটুকু কার্যকর ভাবে মোকাবেলা করছি তা নির্ভর করে মান সম্পন্ন নেতৃত্বের উপর। 

আমরা মনে করি নেতৃত্ব চর্চার জন্য কোন আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব প্রয়োজন নেই। নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কোনো বয়স কিংবা আর্থসামাজিক অবস্থান থেকে মানুষ নেতৃত্ব চর্চা করতে পারে। প্রয়োজন শুধু ইচ্ছা আর সামর্থ্য। আমাদের জনসংখ্যার ৫২% হলো ২৫ বছরের কম বয়সী, তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি বেশ প্রযোজ্য। বিওয়াইএলসি দেশের তরুণদের জন্য এমন কিছু সুযোগ তৈরি করে দেয় যেখানে তারা নেতৃত্ব চর্চার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। নেতৃত্ব চর্চা ও মূল্যবোধের পাশাপাশি বিওয়াইএলসির লক্ষ্য তরুণদের পেশাগত উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা হতে প্রয়োজনীয় সুযোগ প্রদান করা। তাছাড়া, তরুণদের আত্মনির্ভরশীল ও যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলা যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে বাস্তব ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী হয়ে ওঠে।

বিওয়াইএলসির এই উদ্যোগের একটি ভিত্তি হলো ভিন্ন আর্থসামাজিক এবং শিক্ষামাধ্যম থেকে উঠে আসা তরুণদের একত্রিত করার মাধ্যমে নেতৃত্ব চর্চায় আগ্রহী করা। এতে করে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন মতামত ও পরিবেশের সাথে মানিয়ে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করে। নেতৃত্ব চর্চার জন্য এটি একটি অপরিহার্য যোগ্যতা। যেসব বিষয় এদেশের তরুণদের ভাবায় সেসব বিষয় নিয়ে তাদের কাজ করতে অনুপ্রাণিত করি আমরা। আর এভাবেই সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গড়ে তুলতে চাই ন্যায়পরায়ণ, সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ।